× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Former IGPs statement of Hasinas misery Chief Prosecutor
google_news print-icon

সাবেক আইজিপির জবানবন্দি হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল: চিফ প্রসিকিউটর

সাবেক-আইজিপির-জবানবন্দি হাসিনার-দুঃশাসনের-অকাট্য দলিল-চিফ-প্রসিকিউটর

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের জবানবন্দি শেখ হাসিনার দুঃশাসনের এক অকাট্য দলিল। চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গতকাল সংবাদ সংস্থা বাসসকে বলেন, ‘চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন যে জবানবন্দি দিয়েছেন, তা অবশ্যই শেখ হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল।’

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গত মঙ্গলবার জবানবন্দি দেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সেসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তাকে ফোন করে জানান যে আন্দোলন দমনে সরাসরি প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তখন তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে ছিলেন এবং তার সামনে ছিলেন তৎকালীন অতিরিক্ত ডিআইজি প্রলয় কুমার জোয়ারদার। পরে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের এই নির্দেশনা তৎকালীন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ সারাদেশে পৌঁছে দেন প্রলয় কুমার। সেদিন থেকেই মারণাস্ত্র ব্যবহার শুরু হয়।

চৌধুরী মামুন আরও জানান, এই মারণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে অতি উৎসাহী ছিলেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এক্ষেত্রে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের নির্দেশ ছিল, যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করতে হবে।

সাবেক আইজিপি তার জবানবন্দিতে বলেন, শেখ হাসিনাকে মারণাস্ত্র ব্যবহারে প্ররোচিত করতেন ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মির্জা আজম, ফজলে নূর তাপস ও মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমাতে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। যার পরামর্শ দিয়েছিলেন র‌্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক হারুন অর রশীদ। আন্দোলনপ্রবণ এলাকাগুলো ভাগ করে ব্লক রেইড দিয়ে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনরত অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও আহত করা হয়। আন্দোলন দমনে সরকারকে উৎসাহিত করেন আওয়ামীপন্থি বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও ব্যবসায়ীরা।

জবানবন্দিতে ‘কোর কমিটি’র মিটিং বিষয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় ‘কোর কমিটি’র বৈঠক হত। সব বৈঠকেই আন্দোলন দমনসহ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হত। একটি বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার সিদ্ধান্ত হয়।

ডিজিএফআই এই প্রস্তাব দেয় উল্লেখ করে মামুন বলেন, তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পরে রাজি হন। আর সমন্বয়কদের আটকের দায়িত্ব তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুনকে দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মোতাবেক ডিজিএফআই ও ডিবি তাদের আটক করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে আসে। সমন্বয়কদের ডিবি হেফাজতে এনে আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আপস করার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং তাদের আত্মীয়স্বজনদের ডিবিতে এনে চাপ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সমন্বয়কদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে টেলিভিশনে বিবৃতি দিতে বাধ্য করা হয়। এ ব্যাপারে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন সাবেক এই আইজিপি। তিনি জানান, ডিবির তৎকালীন প্রধান হারুনকে ‘জিন’ বলে ডাকতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় গণভবনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরাপত্তা সমন্বয় কমিটির বৈঠক সম্পর্কেও তথ্য দিয়েছেন আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি জানান, ওই বৈঠকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, এসবির প্রধান, ডিজিএফআইয়ের প্রধান, এনএসআইয়ের প্রধানের সঙ্গে তিনিসহ মোট ২৭ জন উপস্থিত ছিলেন। জুলাই আন্দোলন দমন এবং নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তুলে ধরছিল। কিন্তু চারদিকে পরিবেশ-পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হওয়ায় বৈঠকটি মুলতবি করা হয়।

তবে ওইদিন রাতে গণভবনে আবারও বৈঠক ডাকা হয় বলেও জবানবন্দিতে জানান সাবেক আইজিপি মামুন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র‌্যাবের মহাপরিচালক ও সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানসহ তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধান ও এসবির প্রধান বাইরে অপেক্ষমাণ ছিলেন।

ওই বৈঠকে ৫ আগস্ট আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে। ওই বৈঠক থেকে সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুমে যান বলে জবানবন্দিতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, সেখানে (কন্ট্রোল রুম) তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধান, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ডিজিএফআইয়ের প্রধান, এসবির প্রধান ও মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ঢাকা শহরের প্রবেশমুখে কঠোর অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১২টায় সেনাবাহিনীর অপারেশন কন্ট্রোল রুম থেকে তারা সবাই চলে যান।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের বিষয়ে জবানবন্দিতে তিনি জানান, সেদিন সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে আমার দপ্তরে যাই। এর মধ্যে উত্তরা-যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন পথ দিয়ে ছাত্র-জনতা স্রোতের মতো প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে জানতে পারি ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে তিনি কোথায় যাবেন তা জানতাম না। এরপর বিকেলে আর্মির হেলিকপ্টার এসে পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাকে প্রথমে তেজগাঁও বিমানবন্দরের হেলিপ্যাডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ক্যান্টনমেন্টের অফিসার্স মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। হেলিকপ্টারে আমার সঙ্গে এসবি প্রধান মনিরুল, ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিব ও ডিআইজি আমেনা ছিলেন।

পরে হেলিকপ্টারে এডিশনাল ডিআইজি প্রলয়, এডিশনাল আইজি লুৎফুল কবিরসহ অন্যদেরও সেখানে নেওয়া হয়। পরদিন ৬ অগাস্ট আইজিপি হিসেবে তার নিয়োগ চুক্তি বাতিল করা হয় এবং ক্যান্টনমেন্টে থাকাকালে ৩ সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান মামুন।

আন্দোলনের দিনগুলোর বর্ণনা দিতে গিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৭ জুলাই আন্দোলন চলাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ আমরা নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনের পরিস্থিতি দেখতে যাই। পথে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে আমরা কিছুক্ষণ অবস্থান করি।

ওই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মোবাইলে একটি ভিডিও দেখান ওয়ারি জোনের ডিসি ইকবাল। ভিডিও দেখিয়ে ইকবাল বলেন যে, ‘গুলি করি, একজন মরে। সেই যায়। বাকিরা যায় না।’ পরবর্তীতে এই ভিডিও সারাদেশে ভাইরাল হয়।

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দায়িত্বে ছিলেন উল্লেখ করে জবানবন্দিতে আল-মামুন বলেন, তখন পুলিশের আইজিপি ছিলেন জাবেদ পাটোয়ারী। নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে ৫০ শতাংশ ব্যালট ভর্তি করে রাখার পরামর্শ শেখ হাসিনাকে এই জাবেদ পাটোয়ারী দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।

পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসি, এসপি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সেই নির্দেশনা দেওয়া হয় এবং তারা সেটা বাস্তবায়ন করেন। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা এই নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করেছেন, তাদের পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।

২০২০ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, র‌্যাব সদর দপ্তর পরিচালিত উত্তরাসহ র‌্যাব-১ এর কার্যালয়ের ভেতরে টিএফআই সেল (টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশন সেল) নামে একটি বন্দিশালা ছিল। র‌্যাবের অন্যান্য ইউনিটের অধীনেও অনেক বন্দিশালা ছিল। এসব বন্দিশালায় রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী এবং সরকারের জন্য হুমকি হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের আটকে রাখা হত, যা একটা কালচারে (সংস্কৃতি) পরিণত হয়েছিল।

তার ভাষ্যমতে, অপহরণ, গোপন বন্দিশালায় আটক, নির্যাতন এবং ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যার মত কাজগুলো র‌্যাবের এডিজি (অপারেশন) এবং র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকেরা সমন্বয় করতেন। আর র‌্যাবের মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে উঠিয়ে আনা, আটক রাখা কিংবা হত্যা করার নির্দেশনাগুলো সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে আসত এবং এই নির্দেশনাগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে আসত বলে জানতে পারেন বলেও জবানবন্দি দেন সাবেক আইজিপি।

সেসব নির্দেশনা চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ করে সরাসরি এডিজি (অপারেশন) ও র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালকদের কাছে পাঠানো হতো বলে উল্লেখ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

ব্যারিস্টার আরমান আটক থাকার বিষয়টি তিনি আইজিপির দায়িত্ব গ্রহণের সময় জানানো হয় বলেও উল্লেখ করেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি বলেন, র‌্যাবের সাবেক ডিজি বেনজীর আহমেদ বিষয়টি আমাকে অবহিত করেন। তাকে তুলে আনা এবং গোপনে আটক রাখার সিদ্ধান্ত সরকারের ছিল।

বিষয়টি জানার পর আমি প্রধানমন্ত্রীর সামরিক উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বলি। তিনি আমাকে বলেন, ‘ঠিক আছে, রাখেন। পরে বলব।’ কিন্তু পরে আর কিছু তিনি জানাননি। এরপর আমি কয়েকবার বিষয়টি তুলেছিলাম, কিন্তু কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সরকারের আদেশে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে উল্লেখ করে জবানবন্দিতে সাবেক আইজিপি বলেন, আমি পুলিশ প্রধান হিসেবে লজ্জিত, অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী। জুলাই আন্দোলনে যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার জন্য আমি অপরাধবোধ ও বিবেকের তাড়নায় রাজসাক্ষী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী সময়ে আমি ট্রাইব্যুনালে স্বজন হারানোদের কান্না, আকুতি ও আহাজারি দেখেছি। ভিডিওতে নৃশংসতা দেখে অ্যাপ্রুভার হওয়ার সিদ্ধান্ত আমি যৌক্তিক মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে হত্যাকাণ্ডের পর আগুন দিয়ে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মত বিভৎসতা আমাকে ভীষণভাবে মর্মাহত করেছে। আমি সাড়ে ৩৬ বছর পুলিশে চাকরি করেছি। পুলিশের চাকরি খুবই ট্রিকি। সব সময় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে আমার দায়িত্বশীল সময়ে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর দায় আমি স্বীকার করছি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। আমি প্রত্যেক নিহতদের পরিবার, আহত ব্যক্তি, দেশবাসী ও ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন। আমার এই সত্য ও পূর্ণ বর্ণনার মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হলে আল্লাহ যদি আমাকে আরও হায়াত (বাঁচিয়ে রাখেন) দান করেন, বাকি জীবনে কিছুটা হলেও অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাব।

এদিকে, সাবেক আইজিপির জবানবন্দি দেওয়ার পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাজসাক্ষী হওয়া চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ক্ষমা পাবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত ট্রাইব্যুনাল নেবেন। তিনি নিজের বিবেকের তাড়নায় অপরাধ স্বীকার করেছেন। নিজের পক্ষ থেকে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছিলেন।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সাবেক আইজিপি ট্রাইব্যুনালে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, বিশ্বের কোন আদালতেই এ সাক্ষ্যকে দুর্বল প্রমাণ করার সুযোগ নেই। এটি একটি অকাট্য অপ্রতিরোধ্য সাক্ষ্য। এটি শুধু জুলাই-আগস্টের ঘটনা নয়, বাংলাদেশে গত ১৫ বছরে যত গুম-খুন হয়েছে তার বিরুদ্ধে অকাট্য দলিল হিসেবেও কাজ করবে।

ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন বিএম সুলতান মাহমুদ, প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটররা।

এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাগেরহাটে ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানা সিলগালা 

বাগেরহাটে ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানা সিলগালা 

বাগেরহাটে জেলার বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানা সিলগালা ও ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এই আদেশ দেন।

শরিফা সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দলকে সাথে নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভেজাল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবাড়ি, মিস অ্যান্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রিম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি অ্যান্ড আমন্ড স্ক্রিন ময়েশ্চারাইজিং, গ্লিসারিন, রোজ ওয়াটার এবং মোড়ক ছাড়া সাবান তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের মোড়ক পাওয়া যায়।

তিনি জানান, মাত্র তিনটি পণ্যের অনুমতি নিয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যবসায়ী এসব ভেজাল পণ্য তৈরি করছিলেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া পণ্য মোড়কজাতকরণ ও ভেজাল পণ্য তৈরির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভেজাল পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত ও ভেজাল রোধে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বিসিক সূত্রে জানা যায়, অলিফ কুমার নামের এক ব্যবসায়ী টিনের ফ্যাক্টরি হিসেবে বিসিকের ওই প্লটটি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে তিনি প্রসাধনী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে ভাড়া দেন। তবে অভিযানের সময় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে পায়নি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে দুইজন মাত্র কর্মচারী ছিল। অন্য শ্রমিক এবং কর্মচারীরা অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।
‎বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মো. শরীফ সরদার বলেন, বিএসটিআই এর অনুমোদিত পণ্য ছাড়াও বেশ কিছু অননুমোদিত পণ্য তৈরি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসন ও আমাদের কাছে তথ্য ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। আমি আশা করছি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের এমন অভিযান চলমান থাকবে এবং দেশের মানুষকে তারা সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান থেকে আশেপাশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষা গ্রহণ করবে। ভবিষ্যতে বিসিকে কেউ যাতে ভেজাল ও মানহীন পণ্য উৎপাদন না করতে পারে সেজন্য নজরদারি জোরদার করা করা হবে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

হাওর অঞ্চলের দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় টাঙ্গুয়ায় অভিযান

হাওর অঞ্চলের দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় টাঙ্গুয়ায় অভিযান

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৭ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ও বয়স কম থাকায় একজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে জালসহ ৮ জেলেকে আটক করেন টাঙ্গুয়ার হাওর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কমিটির নেতা ও আনসার সদস্যরা।

আটককৃতরা হলেন, আব্দুল গনির ছেলে খোকন মিয়া (৪৫), মানিক মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩৪), সাধির মিয়ার ছেলে পিয়াস (২১), নুরু মিয়ার ছেলে রিফাত(১৮), শুক্কুর আলীর ছেলে তরিক মিয়া (৩৫), জয়নাল উদ্দিনের ছেলে হোসেন খা (৩৪) শাহনুর মিয়ার ছেলে সারোয়ার (১৯) ও টিটন মিয়া (১৪)।

জালসহ আটক ব্যক্তিদের তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসলে রাত ১০টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা করে আটকদের জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক। এ সময় জব্দকৃত ৩ হাজার মিটার নিষিদ্ধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে আটক ৭ জনের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে জরিমানা করা হয়। একজনের বয়স কম থাকায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত জালগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংসা করা হয়

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মুস্তফা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামসহ আনসা সদস্য ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Killed in a road accident in Singhair 2 injured 2

সিংগাইরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-২ আহত-২

সিংগাইরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-২ আহত-২

হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে মালবাহী ট্রাক- সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত হয়েছে। অপর আরো ২ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে প্রশিকা সড়কের মাথায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার নিলুয়া গ্রামের পরশ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (২৩) ও হরিরামপুর উপজেলার কৌরি ঝিটকা গ্রামের মৃত. শেরজন আলী মোল্লার ছেলে মনির হোসেন(৬০)। এ ঘটনায় সিএনজিতে থাকা আহত অপর যাত্রীরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিন সেওতা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহসিন (৩২) ও পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পাটগাড়ি গ্রামের মৃত. আফাজউদ্দিনের ছেলে শাহজাহান (৬০),
স্থানীয়রা জানান, হেমায়েতপুর-সিংগাইর আঞ্চলিক মহাসড়কে মানিকগঞ্জগামী মালবাহী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো উ-১১-২৩২২) বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা সিএনজি (গাজীপুর থ-১১-২৬৬৬) সিংগাইর বাস স্ট্যান্ড ও গোবিন্ধল বাজারের মাঝামাঝি সড়কে পৌছলে মানিকগঞ্জগামী মালবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজির যাত্রী ২ জন মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। অপর ২ যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা এসে সিএনজিতে থাকা ৪ জনকে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর ২ জন গুরুতর আহত অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিংগাইর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মো.আমিনুল ইসলাম ২ জন মৃত্যু ও ২ জন আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,এ ঘটনায় ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladeshi dies in the Mediterranean while traveling to Europe

ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশির মৃত্যু

ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে ভূমধ্যসাগরে বাংলাদেশির মৃত্যু

উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছনোর চেষ্টারত এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। সাগর পাড়ি দিতে যে নৌকায় তিনি চড়ে বসেছিলেন, সেটি লাম্পেদুসা পর্যন্ত পৌঁছলেও ওই বাংলাদেশি পৌঁছেছেন প্রাণহীন দেহে। যাত্রাপথেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছনো ১০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেন দেশটির কোস্ট গার্ড ও ফিন্যানশিয়াল পুলিশের সদস্যরা। ওই নৌকায় থাকা আরও ৫১ জন অভিবাসীকেও উদ্ধার করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের ধারণা, সম্ভবত অভিবাসীবাহী নৌকাটির হাইড্রোকার্বন বা জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

যেসব অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছে মিসরীয়, বাংলাদেশি, ইরিত্রীয়, ইথিওপীয়, সিরীয় ও সুদানের নাগরিকরা। এদের মধ্যে দুজন নারী ও একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও আছে।

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইমব্রিয়াকোলা জেলার অভিবাসনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ওই দিন রাতে লাম্পেদুসার ফাভারোলো জেটিতে নামার পরপরই অভিবাসীরা জানান, উদ্ধারকারীরা আসার আগে তাদের একজন সঙ্গী সমুদ্রে পড়ে যান এবং তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ইতালি সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশটিতে ২০২৪ সাল থেকে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছে। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।

২০২৪ সালের শুরু থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইতালিতে সমুদ্রপথে যাওয়া অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ৯৯৯ জন। কিন্তু এ বছরের একই সময়ে তা কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ৮৬০ জন।

তবে ২০২৩ সালে একই সময়ে রেকর্ড এক লাখ ১৪ হাজার ৮৬৭ জন অভিবাসী গিয়েছিল।

এদিকে চলতি বছর যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশিরা। ১৩ হাজার ২৭১ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছেছে। এর পরই আছে ইরিত্রিয়া। দেশটির পাঁচ হাজার ৮১১ জন নাগরিক পৌঁছেছে ইতালিতে। আর এরপর আছে মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাম।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
PSCs Non Cadre Examination Questions Sale of Sale of Sales

পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির মূল হোতা গ্রেপ্তার

পিএসসির নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রির মূল হোতা গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) অধীনে থানা শিক্ষা অফিসার পদে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষার ‘৯০ শতাংশ কমন সাজেশন’ দেওয়ার নামে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে প্রতারক চক্রের মূলহোতাকে গ্রেপ্তারন করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)।

সিআইডি জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার জামালপুরের মেলান্দহ থেকে প্রশ্ন ফাঁসের নামে প্রতারণা করার অভিযোগে মতিউর রহমান (৩২) নামে প্রতারক চক্রের এই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নাসির উদ্দিনের পুত্র।

গতকাল বুধবার সিআইডির সুপারনিউমারী অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাহিদুল ইসলাম সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতারক চক্রটি আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পিএসসির অধীন উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিইও) পদের পরীক্ষার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘সিক্রেট সাজেশন শিট’ শিরোনামে প্রলোভনমূলক পোস্ট দেয়।

ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে পোস্ট দিয়ে বলা হয়, যারা আগ্রহী তাদেরকে ৫৫০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তরসহ দেয়া হবে। যেখান থেকে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কমন পড়বে।

আগ্রহীদের অগ্রিম অর্থ প্রদান করে, প্রশ্নসেট সংগ্রহের জন্য ইনবক্সে আলাপ করতে বলা হয়। এই লোভনীয় অফার পেয়ে অনেক চাকরি প্রত্যাশী এই চক্রের সঙ্গে আলাপ করে। তাদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ২৮০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়ে প্রশ্ন সরবরাহ করেছে চক্রটি।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নজরে আসলে পিএসসির পক্ষ থেকে সিপিসিতে অভিযোগ করলে বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে কাজ শুরু করে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্রতারক চক্রটির মূলহোতা মতিউরকে সনাক্ত করে সিআইডি জামালপুর ও জেলা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ সময় প্রতারণায় ব্যবহৃত ২টি মোবাইল ও ১টি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। যাতে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পায় সিআইডি।

সিআইডি কর্মকর্তা আরও জানান, চক্রের অন্যান্য আসামি শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে সিআইডির অভিযান অব্যাহত

রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে উপস্থাপনসহ আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

চাকরি প্রার্থীদের জন্য বাজারে এমন অনেক গাইড পাওয়া যাচ্ছে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি কর্মকর্তা বলেন, বাজারে গাইড হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ধারণা লাভের উপায়। পক্ষান্তরে আসামির কার্যক্রম হচ্ছে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থসাৎ ও প্রতারণা।

প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির যুক্ত থাকার ফলে আগামী ১২ তারিখ পরীক্ষা হবে কি-না— এমন এক প্রশ্নের উত্তরে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (নন-ক্যাডার) দিলাওয়েজ দারদুনা বলেন, পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘটনায় পরীক্ষায় কোনো প্রভাব পড়বে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Reno 4 Fiveji in Bangladesh with a 5 Win Gifts offer

বাংলাদেশে রেনো১৪ ফাইভজিতে ১০০% উইন গিফটস অফার নিয়ে এলো অপো

বাংলাদেশে রেনো১৪ ফাইভজিতে ১০০% উইন গিফটস অফার নিয়ে এলো অপো

বাংলাদেশি ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় নতুন অফার নিয়ে এসেছে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। রেনো১৪ ফাইভজি কিনলেই থাকছে ১০০% গ্যারান্টেড উইন অফার। গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে প্রত্যেক ক্রেতা তাদের নতুন স্মার্টফোনের সাথে এক্সক্লুসিভ পুরস্কার পাবেন; যা গত কয়েকবছরের অফারগুলোর তুলনায় এটিকে আরও বেশি ক্রেতাবান্ধব ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

এই অফারের অংশ হিসেবে, প্রতিটি রেনো১৪ ফাইভজির ক্রেতা ৯,৩৮৮ টাকা সমমূল্যের সুবিধা পাবেন। এরমধ্যে রয়েছে অনবদ্য সাউন্ডের জন্য অপো এনকো বাডস৩ প্রো, প্রিমিয়াম সুবিধার সাথে এক্সক্লুসিভ ভিআইপি কার্ড এবং ১২ মাস পর্যন্ত ০% ইএমআই সুবিধা। এছাড়া, ক্রেতারা আরও পাবেন দুই বছরের অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি, অপো সার্ভিস সেন্টারে প্রায়োরিটি সার্ভিস এবং সুরক্ষার অংশ হিসেবে একটি ফ্রি প্রোটেকটিভ ফিল্ম ও ফোন কেস। একইসাথে থাকছে, আকর্ষণীয় ছাড়ে অ্যাকসেসরিজ কেনার সুবিধা সহ লিকুইড অ্যান্ড অ্যাক্সিডেন্টাল ড্যামেজের ক্ষেত্রে এক বছরের ফ্রি কাভারেজ। এসব সুবিধা নিশ্চিত করে যে, প্রত্যকে ক্রেতা কেবল একটি সর্বাধুনিক এআই স্মার্টফোনই পাচ্ছেন না; বরং লাইফস্টাইলকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করবে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ সুবিধা পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “অপোতে, আমাদের প্রতিশ্রুতি কেবল স্মার্টফোন নিয়ে আসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং আমরা প্রত্যেক ক্রেতাকে মূল্যায়ন করতে চাই। এই ১০০% উইন গিফটস অফার আমাদের ক্রেতাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে, যেন তারা রেনো১৪ ফাইভজির সাথে আরও বেশকিছু সুবিধা গ্রহণ করার সুযোগ পান। শুধু ফোন নয়, আমরা যত্ন, সুবিধা ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতার একটি পরিপূর্ণ প্যাকেজ নিয়ে এসেছি। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও গ্রাহক সুবিধার মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্রেতাদের জানাতে চাই যে, ব্র্যান্ড হিসেবে অপো সবার আগে মানুষের প্রতিই গুরুত্বারোপ করে থাকে।”

অপো রেনো১৪ ফাইভজি নিজেই একটি অসাধারণ স্মার্টফোন। এটি এখনকার কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ট্রেন্ডসেটারদের বিষয়গুলো বিবেচনা করে তাদের জন্য একটি এআই-নির্ভর ফটোগ্রাফি সহযোগী হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। এর সর্বাধুনিক এআই ফ্ল্যাশ ফটোগ্রাফি যেকোনো পরিস্থিতিতে নিখুঁত ও প্রাণবন্ত শট ধারণ করতে সক্ষম। এর ৪কে আন্ডারওয়াটার ভিডিওগ্রাফি ফিচার ব্যবহারকারীদের অনবদ্য মুহূর্তগুলোকেও ভিডিও হিসেবে ধারণ করে রাখতে পারে। রাতে ফটোগ্রাফির জন্য এআই লো লাইট প্রযুক্তি খুব স্বাভাবিকভাবেই অন্ধকার পরিবেশে সুনির্দিষ্ট, রঙিন এবং পেশাদার মানের ছবি নিশ্চিত করে। কনটেন্ট তৈরি আরও সহজ করতে, ফোনটি এআই এডিটর ২.০ নিয়ে এসেছে, যা ইনটিউটিভ ও ওয়ান-ট্যাপ অ্যাডজাস্টমেন্টের মাধ্যমে ছবিকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিখুঁত করে তুলবে। এছাড়াও, রেনো১৪ ফাইভজি স্মুথ মাল্টিটাস্কিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে; যা ব্যবহারকারীদের আধুনিক জীবনের সাথে মানিয়ে নিতে একটি শক্তিশালী, স্টাইলিশ ও নির্ভরযোগ্য ডিভাইসের নিশ্চয়তা দেয়।

এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে, অপো সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি, ভরসাকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করতে চায়। রেনো১৪ ফাইভজি ব্যবহারকারীদের আশেপাশের বিশ্বকে পৃথিবীকে অসাধারণ বিশদভাবে ধারণ করার উপযোগী করে সক্ষম করে তোলে; আর ১০০% উইন গিফটস অফারের মাধ্যমে প্রতিটি কেনাকাটায় ডিভাইসের বাইরেও তাত্ক্ষণিক সুবিধা নিশ্চিত করে। অপো সবসময় উদ্ভাবন ও গ্রাহক সন্তুষ্টির সমন্বয় করেছে। এই উদ্যোগ প্রিমিয়াম প্রযুক্তিকে সকলের জন্য সাশ্রয়ী ও গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের প্রতিশ্রুতিকেই তুলে ধরছে।

১০০% উইন গিফটস অফার সহ অপো রেনো১৪ ফাইভজি এখন বাংলাদেশের সকল অনুমোদিত আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে। ০১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনটি ইতোমধ্যেই স্মার্টফোন-প্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া তৈরি করেছে। একটি বিশ্বমানের ডিভাইসের পাশাপাশি অসাধারণ সব সুবিধা, এই মালিকানাকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।

রেনো১৪ ফাইভজি এবং এই ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh বা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://www.oppo.com/bd/smartphones/series-reno/reno14/ ভিজিট করুন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Sylhet started searching for ACC against those involved in white stone looting

সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট ও আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অনুসন্ধান পর্যায়ে অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার কমিশনের সভায় এই প্রস্তাব তোলা হলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে দুদকের সিলেট কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে ৪২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উঠে আসে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তারা পাথর লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অভিযানে দুদকের দল দেখতে পায়, স্থানীয় প্রশাসনের পর্যটন সেবা এবং নদীর তীরেই বিজিবি ক্যাম্পের টহল চালু থাকা সত্ত্বেও বিগত কয়েক মাসে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে পাথরলুট কাণ্ডে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।

তালিকায় আরও রয়েছে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীর নাম। তারা হলেন- কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।

প্রতিবেদনে জামায়াতের দুজনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন। প্রতিবেদনে এনসিপির দুই নেতার নাম এসেছে। এরা হলেন- সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া অনুসন্ধানে সাদা পাথর লুটের সঙ্গে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জের আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম ও মুকাররিম আহমেদ।

অন্যদিকে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে দায়ী করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহার, কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায়, আবিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। এছাড়া বর্ডার গার্ডকেও দায়ী করা হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে।

মন্তব্য

p
উপরে